 
              প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ০১:৫৫ এএম
 
                 ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নির্মাণশ্রমিকের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (০৪ আগস্ট) নিহতের মা নিহার বেগম (৫২) বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মিজান শেখ রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে।
অপরদিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) শৈলেন চাকমা এবং বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে মিজান শেখ বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। পরিবারের সদস্যরা নিহতকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না তাকে।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই বিয়ে করলেও তার কোনো সন্তানাদি ছিল না। এমনকি দুই স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে মেহগনি বাগানে স্থানীয়রা তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ডহরনগর ফাঁড়ি ইনচার্জ আজাদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিজানের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরে মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে এবং তার ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার থেকে মিজানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তিনি জানান, তারা দুই ভাই-বোন। বিয়ে করলেও মিজানের পারিবারিক জীবনে স্ত্রী বা কোনো সন্তানাদি নেই।
লাশ উদ্ধারকারী বোয়ালমারী থানার ডহরনগর তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক কবির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বুধবার বিকেল থেকে মিজান নিখোঁজ ছিল। তবে নিখোঁজের ব্যাপারে কেউই থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে শুক্রবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা নিহার বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      