 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০২:৪১ এএম
 
                 ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁওয়ে সহিরন বেওয়া নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী বিধবা ভিক্ষুক নারীর বয়স্ক ভাতার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো: ফারুক নামের স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি জানাজানি হবার পর উক্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ তদন্ত করছেন সমাজসেবা অধিদপ্তর। এমন অসংখ্য অভিযোগের সমাধানে লাইভ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রকৃত ভাতা ভোগীদের হাতে সরকারি অর্থ পৌছাতে কাজ করছে সমাজসেবা অধিদপ্তদর। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো: ফারুক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত মুনিরউদ্দীনের স্ত্রী ৯৩ বছর বয়সী সহিরন বেওয়া জীবিকা নির্বাহ করেন ভিক্ষাবৃত্তি করে। স্বামী মারা যাবার পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের জমিতেই বসবাস করছেন। বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার পেয়েছেন সহিরন।
পরে মোবাইলে ভাতা দেওয়া শুরু হলে ইউপি সদস্য ফারুক ছেলে শাকিলের মোবাইল নম্বর দেয় সহিরনের মোবাইল নম্বরের স্থানে। দীর্ঘদিনেও সহিরন ভাতার টাকা না পেয়ে ইউপি সদস্য ফারুকের সাথে যোগাযোগ করলে সহিরনের ভাতার কার্ডটি নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় ফারুক। চলতি মাসে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে সহিরন জানতে পারেন তার ভাতার কার্ড বন্ধ হয়নি বরং টাকা যাচ্ছে ইউপি সদস্য ফারুকের ছেলে শাকিলের মোবাইল নম্বরে। বিষয়টি এখন ওই ইউনিয়নে মানুষের মুখে মুখে।
এমন অসহায় নারীর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করায় ইউপি সদস্য ফারুকের শাস্তির দাবি করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন সরকারি ভাতা করে দেওয়ার নামে আরও অনেকের কাছে টাকা নিয়ে ভাতা করে দেননি ইউপি সদস্য ফারুক।
ঠাকুরগাঁও সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আল মামুন জানান, অভিযোগ রয়েছে মৃত মানুষের ভাতা পাচ্ছে অনেকে। আর বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত ভাতা-ভোগীর টাকা যাচ্ছে অন্যের মোবাইলে যারা সেই টাকা আত্মসাৎ করছেন। এ বিষয়ে লাইভ ফেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। লাইভ ফেরিফিকেশন দ্রুত সময়ে শেষ হলে প্রকৃত ভাতা-ভোগীদের আর অভিযোগ থাকবেনা। এছাড়াও সহিরনের অভিযোগটির তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা-ভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৫ জন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      