• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন, মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন, মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মিয়াপুরের প্রবাসী মোরশেদ আলম স্বপনের মেয়ে সুমাইয়া বিনতে আলম স্মৃতিকে তার গর্ভধারিণী মা ও মায়ের প্রেমিক জোরপূর্বক একাধিক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছে। 

হত্যার পর পুলিশ এক বছরেও মামলা নেয়নি। পরে জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের নিকট মামলা করলে আদালতের আদেশে ২০২২ সালের ৯ আগস্ট বেগমগঞ্জ পুলিশ খুনের মামলা রেকর্ড করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী দাদা খোরশেদ আলম শনিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট বেগমগঞ্জ থানার টিভি সেন্টারের পশ্চিম পাশে আমার ছেলের ভাড়া বাসায় ছেলের বউ মারজাহান আক্তার সুমি ও তার প্রেমিক জাকির হোসেন  দুজনে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। এটা আমার এসএসসি পরিক্ষার্থী নাতনি  সুমাইয়া বিনতে আলম স্মৃতি দেখে চিৎকার করায় দুজনে মিলে সুরাইয়াকে অনেক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্হায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেখানে সুমাইয়া মারা যায়।  

আমি একই দিন বেগমগঞ্জ থানায় তার মা মারজাহান আক্তার সুমি ও তার প্রেমিক জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এর এক বছর পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে ২০২২ সালের ৯ আগস্ট বেগমগঞ্জ পুলিশ খুন ও খুনের সহযোগিতার ধারায় থানায় মামলা রেকর্ড করেন। তারও প্রায় এক বছর পর বাদীপক্ষের কোনো বক্তব্য না নিয়ে খুনের ধারা বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে আপওি জানান। আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করে তা জেলা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

ডিবি জানায়, আসামিদের খুঁজে না পাওয়ায় মামলার তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে না।

এদিকে আসামিরা বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে, নতুবা তার ছেলে (ভিকটিমের বাবা) মোরশেদেরও একই পরিণতি হবে।

ভিকটিম সুমাইয়া হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক মীরন জানান, মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রেমিকের সহায়তায় গর্ভধারিণী মা এসএসসি পরিক্ষার্থী মেয়েকে মারধর করার পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করল। কিন্তু ঘটনার দুই বছর পরও আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার হয় না। উলটো ভিকটিমের বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, মামলাটি এখন ডিবির হাতে। আর ঘটনার সময় আমি এখানে ছিলাম না।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ