 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ০১:৪৯ এএম
-20231211134924.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর রূপগঞ্জের বাসভবনে মধ্যাহ্ন ভোজের অনুষ্ঠানে টাকা বিতরণের ভিডিও প্রকাশ করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও একই আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এই ভিডিও তুলে ধরেন তিনি। এ ভিডিওটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, গণবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার দলীয় প্রার্থী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্বাচনী অবস্থান দুর্বল দেখে তিনি এখন অর্থের বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। সেই লক্ষ্যে গত শুক্রবার নিজের বাসভবনে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করে এলাকার নিম্ন আয়ের পরিবারের মহিলাদের ডেকে এনে খাবার টেবিলে টাকা বিতরণ করেন জেলা পরিষদের সদস্য আনসার আলী। যিনি পাট মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন। এর মাধ্যমে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তৈমূরের এই বক্তব্যের পর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন ভোটারদের মোবাইলে ভিডিওটি সোমবার দুপুর থেকে ভাইরাল হতে থাকে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আনসার আলী এক ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের জানান, ভিডিও গত ২৯ সেপ্টেম্বরের। আগের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপগঞ্জের বাড়িতে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে খাওয়ানো হয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজে টাকা বিতরণের যে ভিডিও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রকাশ করেছেন সেটি পুরনো ভিডিও বলে দাবি করেছেন টাকা বিতরণকারী ব্যক্তি নিজেই। তিনি বলেন, মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আগতদের প্রত্যেককে যাতায়াত ভাড়া বাদদ ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এর পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর এই ভিডিও ফেসবুকে অনেকেই আপলোড করেন। যার প্রমাণ রয়েছে।
আনসার আলী দাবি করেন, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুল আলম খন্দকার দুই মাস আগের ভিডিও যাচাই না করে এখন নির্বাচনকালীন সময় প্রকাশ করে মিথ্যাচার করেছেন। এতে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধসহ মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      