• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনী উত্তাপ, মাইকে গানের সুরে ভোট প্রার্থনা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৪:১২ এএম

প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনী উত্তাপ, মাইকে গানের সুরে ভোট প্রার্থনা

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিনটি নানা নাটকীয়তার পার করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী স্থানীয় সাংবাদিককে দিয়েছেন হুমকি। পরে অবশ্য সরিও বলেছেন। এছাড়া দুই প্রার্থীকে একই প্রতীক বরাদ্দ দেয়ায় তা নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। বিপাকে পড়েন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সেইসঙ্গে মাইকে গানের সুরে ভোট চাওয়ায় উৎসবের আমেজ। সব মিলিয়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৩৪ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

সিটি নিউজ ঢাকার হাতে আসা একটি ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার সকালে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের নৌকার প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন। উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কের পাশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন দৈনিক সমকালের নাসিরনগর প্রতিনিধি মুরাদ মৃধা। এ সময় ফরহাদ হোসেন গাড়ি থামিয়ে মুরাদ মৃধাকে বলতে থাকেন, ‘সাংবাদিক ভাই আমার ছবি আপনাকে তুলতে হবে না। আমি এমপি হই না হই দেখা হবে।’

ফরহাদ হোসেন গাড়ি ছেড়ে দেয়ার পরও অস্পষ্টভাবে কিছু বলতে দেখা যায় তাকে। এটিকে হুমকি হিসেবেই বলছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। অবশ্য কিছুক্ষণ পরই ওই সাংবাদিককে ‘সরি’ বলেন নৌকার প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন।

এ বিষয়ে মুরাদ মৃধা জানান, জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি কোনও ধরণের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও মঈন উদ্দিন একই প্রতীক কলার ছড়ি বরাদ্দ পান। এ সময় রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান লটারির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেন। এ সময় মঈন উদ্দিন জানান, এর আগে একটি নির্বাচনে তিনি কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে লড়েছেন বলে এটার বেশি দাবিদার। জিয়াউল হক মৃধাও জানান, তিনিও এ প্রতীক নিয়ে একবার ভোটে লড়েছেন।

এ অবস্থায় রিটানিং অফিসার নিজেদের মধ্যে সমঝোতার কথা বলেন। মঈন উদ্দিন তখন জিয়াউল হক মৃধার কাছে বিনীতভাবে চেয়ে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে নেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর জেলার সব কটি আসনেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। বেলা ২টার পরই প্রার্থীদের পক্ষে শুরু হয় মাইকিং। গানের সুরে প্রার্থীদের পক্ষে চালানো হয় প্রচারণা। এছাড়া উঠান বৈঠক ও সভা-সমাবেশ তো চলছেই।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ