• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অন্ধত্ব আটকে রাখতে পারেনি লিমাকে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১০:৪৩ এএম

অন্ধত্ব আটকে রাখতে পারেনি লিমাকে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

জন্ম থেকেই অন্ধ লিমা বেগম। তার পরও অদম্য চা বাগানের এই কিশোরী লেখাপড়া ছাড়েনি। এগিয়ে যেতে চায় অনেক দূর। তাই পরীক্ষার পাঠ চুকাতে শ্রুতিলেখক নিয়ে বসেছে পরীক্ষার বেঞ্চে।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার তাহের শামসুননাহার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। সে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

উপজেলার চণ্ডিছড়া চা বাগানের দরিদ্র পরিবারের সন্তান লিমা বেগম। তার বাবা মো. দেলোয়ার মিয়া। তার বড়বোনও এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। একদিকে দুটি অন্ধ চোখ, অপরদিকে আর্থিক দৈন্যতা থাকলেও সে থেমে যায়নি। পরিবার ও সহৃদয়বানদের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সে বড়বোনের পড়া শুনে শুনে শিখে। তার ইচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া।

বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শেষে লিমা জানায়, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি, নন্দিনী বাকতি তার হয়ে লিখেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, শ্রুতিলেখকের সহায়তা নিয়ে পরীক্ষা দিতে অনুমতি আনা হয়েছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে। শ্রুতিলেখক নন্দিনি একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাধারণত শ্রুতিলেখকদের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে নিচের ক্লাসের হতে হয়।

অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলাম জানান, শ্রুতিলেখক নিয়োগের জন্য শ্রুতিলেখকের অভিভাবক এবং তার প্রতিষ্ঠানপ্রধানের অনুমতি প্রয়োজন। যারা শ্রুতিলেখক হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় তাদের পরীক্ষার্থীর চেয়ে নিচের ক্লাসের হতে হয়। এখানে তাই করা হয়েছে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়ে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাকে আইন অনুযায়ী ২০ মিনিট সময়ও বেশি দেওয়া হচ্ছে।

আর্কাইভ