 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১০:২৬ এএম
 
                 
                            
              বিভিন্ন ছদ্মাবরনে পার্বত্য রাঙামাটি জেলা থেকে প্রতিনিয়ত পাঁচার হচ্ছে অবৈধভাবে আনা ভিনদেশী জিনিসপত্র, সিগারেটসহ পাহাড়ের বনাঞ্চলের বিলুপ্ত হতে যাওয়া বিক্রয় নিষিদ্ধ গাছ।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাঙামাটি থেকে বাসভর্তি করে বিক্রয় নিষিদ্ধ চিড়াই কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি চেকপোষ্টে লাখ টাকা মূল্যের ছয় আড়াই চিড়াই কাঠ আটক করেছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে চেকপোষ্টের নজরদারি বৃদ্ধি করে দ্রুতগতির বাস আটকিয়ে পাচার হতে যাওয়া এসকল কাঠভর্তি বাসসহ চালক সেলিমকে আটক করেছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, মধ্যরাতে এবি এন্টারপ্রাইজ নাইচ ট্যুর নামের একটি বাস (যাহার নাম্বার-চট্টমেট্টো-জ-১১-০৮৯৩) কোনো যাত্রী ছাড়াই দরজা-জানালা বন্ধ করে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি চেকপোষ্টে আমরা গাড়িটিকে থামাই।
পরবর্তীতে গাড়ির ভেতরে বিশেষভাবে ছয় আড়াই সাইজের গুটগুটিয়া, কনক গাছের চিড়াইকৃত ৭ফুট লম্বা ৫৫টি কাঠ পাওয়া যায়। এসময় আমরা চালক সেলিমকে গাড়িসহ আটক করে কার্যালয়ে নিয়ে আসি। এই ঘটনায় বন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে আটককৃত চালক সেলিম জানায়, গাড়িটির মালিক রাউজানের মানিক কোম্পানী। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের বাস স্টেশন সংলগ্ন নীচের রাস্তার জনৈক হাসান এই কাঠগুলো বৈধ কাগজ আছে জানিয়ে গাড়িতে কাঠগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া করে তিনি নিজেও গাড়িতেই ছিলো। কিন্তু মানিকছড়িতে গাড়িটি আটকানোর সাথে সাথেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এখন আর ফোন ধরছেনা বলেও জানায় আটককৃত চালক সেলিম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপরোয়া সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে যাত্রীবাহি যানবাহন, পিকআপ, ট্রাক, মাছের গাড়ি, মৌসুমি পন্যবাহি গাড়ি, শুকনো খড়ের গাড়িতে করে কাঠের চৌ-কাঠ, দরজাসহ ছয়-আড়াই চিড়াই কাঠ পাঁচার করে।
এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে নির্দিষ্ট্য সময়ে এসকল অপকর্ম করে সিন্ডিকেট চক্র। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বনবিভাগ তাদের নজরদারি বৃদ্ধি করায় সিগারেট, রসুন, কাঠসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আটক হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট্যরা।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      