 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ১০:৫০ এএম
 
                 
                            
              লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ বিজিবির বাধায় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর-৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম আলদীন সীমান্তে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান ডিএএমপি পিলার ৮ নম্বরের ৫১ নম্বর সাব-পিলার দহগ্রাম সরকারপাড়া এলাকায় শূন্যরেখায় সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফের ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় এই নির্মাণকাজ করতে থাকেন ভারতীয় ১৫ থেকে ২০ জন নাগরিক।
অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার খুঁটি দিয়ে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের কাজ করার খবর জানতে পেরে বিজিবির দহগ্রাম ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন। এরপরও বিএসএফের সদস্যরা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় বিজিবির সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আবারও কাজে বাধা দেন। একপর্যায়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে সীমান্তের ১৫০ গজ শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যান। এর আধঘণ্টা পর নির্মাণকাজের মালামাল ও সরঞ্জাম ভারতের ভেতরে নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।
এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার মো. জামিল হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক মৌখিক প্রতিবাদ জানানো হয়। পুরো সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম আলদীন বলেন, সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখায় বিএসএফের সহায়তায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবে না বিজিবি। কোনো অবস্থাতেই করতে দেওয়া হবে না। নির্মাণের বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      