 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
 
                 
                            
              পটুয়াখালীর বাউফলে মা বাবাকে অজ্ঞান করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর অসুস্থ মা বাবাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে বাউফল থানার পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সম্প্রতি ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বনিক অপহরণ ও তার প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি মামলার আসামি বেল্লাল হোসেন (২৫) ও ফয়সাল আহমেদ (২২)। ডাকাতি অপহরণ মামলায় গত সপ্তাহে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসেছেন বেল্লাল হোসেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত আনুমানিক ১১দিকে তাদের ঘরের পিছনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাদের চোখ মুখে কিছু একটা ছিটিয়া দেয়া হয়। এতে তারা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাদের মেয়েকে উঠিয়ে পাশের একটি বিলে নিয়ে পাষবিক নির্যাতন করা হয়। কাউকে কিছু না বলতে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এলে বাড়ির অন্যরা সজাগ হয়। তখন ভুক্তভোগী অভিযুক্ত বেল্লাল ও ফয়সালের কথা বাড়ির লোকজনকে জানান। সারারাত অজ্ঞান থাকার পর সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার মা বাবাকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সহকারি পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, নির্যাতনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের পুরো পরিবার অসুস্থ আছে। ভিকটিমের শারিরীক পরীক্ষা চলছে। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। ঘটনার সন্দেহজনক দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী তরুণীকে একসময় বিবাহ করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত বেল্লাল হোসেন। পরিবার রাজি না হওয়ায় তাদের বিয়ে হয়নি। পরে গত বছর মদনপুরা ইউনিয়নের একজনের সাথে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। বিয়ের ৮দিন পরে ডিভোর্সও হয়ে যায়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      