 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
 
                 
                            
              পটুয়াখালীর বাউফলে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণসহ সারাদেশে ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুন, রাহাজানির প্রতিবাদে এবং বাউফল থানার প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লালকার্ড প্রদর্শন করেছে। একই সঙ্গে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছে।
সোমবার সকাল ১১টায় বাউফল সরকারি কলেজ থেকে শুরু হওয়া মিছিল উপজেলা পরিষদ হয়ে থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়। এই কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বাউফলের চন্দ্রদ্বীপে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা দেশের সামগ্রিক নারী নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান চিত্রকে তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীরা খুন, চাঁদাবাজি, দখলদারি, রাহাজানি, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়েও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পূর্বের আন্দোলনগুলোর প্রতি প্রশাসনের উদাসীনতা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব তাদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে তারা অযোগ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মুনতাসির তাসরিপ বলেন, "আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু প্রশাসন আমাদের কথা শুনছে না। ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বাড়ছে, অথচ অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা কি বিচার পাব না? আমরা কি নিরাপদে চলতে পারব না? প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কী করব? আজকের লালকার্ড তাদের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত বার্তা।"
আয়েশাতুন্নেসা বর্ষা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে নারীরা যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে সেই স্বাধীনতার অর্থ কী? আমরা চাই প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়াক, দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করুক। আমরা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কার্যকর পদক্ষেপ চাই। আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না অপরাধীরা শাস্তি পায়।
এছাড়া মো. রাহাত ও পলাশসহ অন্যান্য বক্তারা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। তাদের মতে, দেশে অপরাধের মাত্রা বাড়লেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। তাই তার পদে থাকা অযৌক্তিক।
এই বিষয়ে থানার এক কর্মকর্তা বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শুনেছি এবং বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।"
তবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট নয় এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
 
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      