 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ১১:১২ এএম
 
                 
                            
              বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত মো. আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭) মারা গেছেন।
শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হৃদয় উপজেলার পশ্চিম যৌতা গ্রামের রিকশাচালক আনসার হাওলাদারের ছেলে।
হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় আন্দোলনে অংশ নেণ তিনি। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ি এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। এ সময় তার মাথায় তিনটি গুলি লাগে। ওই সময় তিনি লুকিয়ে চিকিৎসা নেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা তার মাথা থেকে ২টি গুলি বের করতে পারলেও আশঙ্কাজনক হওয়ায় একটি গুলি বের করতে পারেননি। এতে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি হৃদয়।
তার পরিবার আরও জানায়, বিভিন্ন সময় অস্থির হয়ে পড়তেন তিনি। প্রচণ্ড জ্বর উঠত তার শরীরে। গত বুধবার হৃদয় অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হৃদয়ের বাবা আনসার হাওলাদার বলেন, অর্থাভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। একমাত্র সম্বল রিকশা ও একটা গরু বিক্রির টাকা দিয়ে যতটুকু করার চেষ্টা করেছি। মাথার তিনটি গুলির দুটি বের করেছেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা। আরেকটি গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। বিদেশ চিকিৎসার করা হলে আমার ছেলেটা বেঁচে থাকতো। টাকা নেই তাই ছেলেটা মারা গেছে। আমার ছেলেটার জীবন গেছে। নতুন সরকার আসছে, কেউ তার খোঁজ নিল না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত হৃদয়ের বড় ভাই মো. সোহাগ ইসলাম আনিস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা গুলি নিয়ে অসুস্থ ছিল হৃদয়। এতে মাথায় প্রচুর ব্যথা করত। জ্বর উঠত। কেউ আমার ভাইয়ের খোঁজ নেয়নি। উন্নত চিকিৎসার অভাবেই আমার ভাই মারা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আ. রউফ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। পরিবার যথাসময়ে বরিশাল নিয়ে যেতে পারেনি। এখানেই বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      