 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
 
                 
                            
              পটুয়াখালীর বাউফলে তরমুজ চুরির অপবাদে একজনকে চরে আটকে রাখার ঘটনায় ছেলেদের বিরুদ্ধে বাবার কাছে সাহায্য দাবি করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ইট দিয়ে পিটিয়ে তিনজনকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে হালিম চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় দিনমজুর কবির গাজী (৪২), তার ভাতিজা তারেক গাজী (১৯) ও ফরহাদ গাজীকে (১৭) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম এমদাদের (৫৫) কাছে তার ছেলে রিজভী হাওলাদার (৩৫) ও রানা হাওলাদারের (৩৮) দারা হয়রানির বিষয় সাহায্য চাওয়ায়, তাদেরকে প্রকাশ্যে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথায় ও শরীরে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কবির গাজী জানান, তার মামাতো ভাই ফিরোজ খান একজন জেলে। আজ দুপুরে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করার সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে টেক্কার চরে ওঠেন। সেখানে তাকে তরমুজ চুরির অপবাদে আটকে রাখেন রিজভী ও রানা। বাস্তবে কোনো তরমুজ উদ্ধার হয়নি। খবর পেয়ে তিনি অভিযুক্তদের পিতা এমদাদকে বিষয়টা জানায়। চরে গিয়ে জেলে ফিরোজকে মুক্ত করেন এমদাদ। কিছুক্ষণ পরে শৌলা গ্রামে এসে রিজভী ও রানা পিতার সামনেই ইট দিয়ে পিটিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তখন রক্ষা করতে এলে তার দুই ভাতিজাকেও পিটিয়ে জখম করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পিতা মঞ্জুরুল আলম এমদাদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, `বিষয়টা আমরা নিজেরাই বসে ফয়সালা করতেছি আজ কালের মধ্যে। এটা নিয়ে আপনারা কিছু (সংবাদ) কইরেন না দয়া করে। "রাখি-আল্লাহ হাফেজ" বলে মুঠোফোন সংযোগ কেটে দেন তিনি।
বিষয়টি অবগত নয় পুলিশ৷ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      