
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
বাউফলে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এক মুসলিম পরিবারের ৩সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেন সংখ্যালগু গবিন্দ ঘরামি (৩৫)। এঘটনায় গুরুতর আহত শাহ আলম রাঢ়ী (৫৫) ১মাস ১১দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় মৃত্যুর বরণ করেন তিনি।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামের গবিন্দ ঘরামির পরিবারের সাখে একই গ্রামের শাহ আলম রাঢ়ী পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ২১ মার্চ সকাল ১১টায় ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে গবিন্দ ঘরামির নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল দেশিয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এসময় শাহ আলম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২দফায় অস্ত্রপচার শেষেও অবস্থার উন্নতি না হলে শাহ আলমকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার।
অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান তিনি। এঘটনায় আহত হন শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা (৪৫) বেগম ও তার ছেলে রাকিব(২০)। ওই ঘটনায় গত ২৩মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগমের অভিযোগ, ‘ঘটনাল পর থেকে অজানা কারনে বাউফল থানার পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মো মাসুদ খলিফা। এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেননি তিনি। ৪নং আসামী জামিন নিতে গিয়ে আদালতে গ্রেপ্তার হন। বাকি নামিয় কোন আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এসআই মাসুদ খলিফাকে আসামি ধরার ব্যপারে বললে তিনি বলতেন আসামি কোথায় আছে তারা জানেন না বলে কেটে পরতেন। ৪আসামির মোবাইল নাম্বার মাসুদের কাছে দিলেও আসামি ট্রেস করেননি তিনি। আসামী কোথায় আছে সেটা বাদি পক্ষের লোকদেরকে খোজ নিতে বলতেন মাসুদ খলিফা।
সদ্য যোগদানকৃত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান সরকার জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আগেই মামলা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৩আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।