
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে বজ্রপাতের ঘটনায় ফারিয়া জান্নাত ইরিনা (১৪) ও আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়া (১৪) নামে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী মারা গেছে। এছাড়া বর্ষা (১৫) নামে তাদের আরেক সহপাঠি গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকী গ্রামে বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই ছাত্রীর মধ্যে ফারিয়া জান্নাত ইরিনা চরটেকী নামাপাড়ার জালাল উদ্দিনের মেয়ে ও আদ্রিতা ইসলাম প্রিয়া একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে। এছাড়া আহত হিমা আক্তার বর্ষা গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের মেয়ে।
তিনজনই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১টা থেকে বিদ্যালয়ে তাদের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো।
চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক জানান, বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১টায় ৯ম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ছিলো।
এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ইরিনা, প্রিয়া ও বর্ষা বাড়ি থেকে স্কুলে আসছিলো। পথে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রাঘাতে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া গুরুতর আহত বর্ষাকে কিশোরগঞ্জে রেফার্ড করা হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূর-এ-আলম খান জানান, ইরিনা ও প্রিয়া এই দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় বর্ষা নামে আরেকজনকে আনা হয়েছে। তাকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন দুই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। হাসপাতালে ইরিনা ও প্রিয়া এই দুইজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গুরুতর আহত বর্ষাকে কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মারা যাওয়া দুই ছাত্রীর পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।