
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
পঞ্চগড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মত জায়গায় করিডোর দেয়া তারপূর্বে জনগণের রায় লাগবে। বাংলাদেশের যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে রাজনীতি করছে তাদের রায় লাগবে। এটা কোন ছোট বিষয় না। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বার আউলিয়ার মাজারে ওরশ শরীফ মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি করিডোরের নাম করে বিদেশি এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন রকম ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা সংস্থা এসেছে। বিভিন্ন দেশ ঢুকেছে। ইউএন ঢুকেছে। ইউএনের নাম করে বিভিন্ন ধরনের সাম্রাজ্যবাদী মানুষ ঢুকেছে, রাস্ট্র ঢুকেছে। এই সুযোগ আমরা বাংলাদেশে আর হতে দেব না। ইন্টিরিম সরকারকে আমরা অনেক জায়গায় দেখছি তারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে অবহেলা করছে। এই জায়গায় অবহেলা করার সুযোগ নেই।
সারজিস বলেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এক দেড় বছরে সম্ভব না। কিন্তু একটি মৌলিক সংস্কার ও এই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা আমরা নিজে এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছি । ওই মৌলিক সংস্কার গুলোতে যে গুলোর সাথে একটি সচ্ছ নির্বাচন জড়িত। যে গুলোর সাথে সুষ্ঠ একটি বিচার ব্যবস্থাপনা জড়িত ওই সময়ের জন্য। যে গুলোর সাথে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করাটা জড়িত। এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে অর্ন্তবর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী ডিসেম্বর কিংবা জুনে নির্বাচন করতে পারবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। এই অর্ন্তবর্তী সরকার এখনো আওয়ামী লীগ ও জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু করেনি। অবিলম্বে তা শুরু করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, তারপাশে পাকিস্তান। আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না যে আমাদের পাশ্ববর্তী এই দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগুক। কেননা এই দুইটি দেশই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যুদ্ধ পরিস্থিতি দাড়ালে সব থেকে ভূক্তভোগী হবে বাংলাদেশ। দুইটি দেশের মধ্যেও ধর্মীয় বিষয়টি দাড়াতে দেখেছি। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী মধ্যে উগ্রবাদীতা দেখেছি। ভারত কিন্তু প্রথমে হামলা করেছে। পেহেলগামে হামলার কোন ফুটেজ নেই। পৃথিবীতে আমরা দেখেছি অনেক দেশ নিজেরা হামলা করে অন্যর উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জেলা শহর গুলোতে দেখবেন। এমনকি পঞ্চগড়েও দেখবেন। ঠাকুরগাঁওয়ে সব চেয়ে বেশি দেখতে পাবেন। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জে দেখবেন এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের নামে মামলা হবে বিচার হবে। দৃশ্যমান শাস্তি হবে। কিন্তু আমরা কখনো এটা চাইনা যে একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে। কোন একজন মানুষ সে যে কোন রাজনৈতিক দলের হোক না কেন সে যদি কোন দিন অন্যায় না করে অপকর্ম না করে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে।
সারজিস বলেন, আমরা বর্তমানে দেখছি মামলা হবার আগে একটি চক্র তালিকা তৈরী করছে তাতে অনেকের নাম দেয়া হচ্ছে। বেশি করে ব্যবসায়ীদের। তাদের নাম কাটাতে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে। আবার মামলা হয়ে গেছে সেখানে আবারো টাকা নেয়া হচ্ছে। পরে তৃতীয় দফায় নানাভাবে আরো টাকা নেয়া হচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দলের লোকজন এটা করছে।
এর আগে, সারজিস জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সহায়তা মাজারে আসা লোকজনের মাঝে সুপেয় পানি, এনসিপির ক্যালেন্ডার সহ নানা সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।