
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১৪ জনকে আটক করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার রাতে পাবনা সদর উপজেলার চর ঘোষপুর এলাকায়।
পাবনায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে আটককৃতদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় ৮টি ট্রাক, ৪টি স্কেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়।
রোববার ( ১১ মে) রাতে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, পাবনা সদর উপজেলার কৃষ্টপু্র গ্রামেরজুয়েল হোসেন (৪০), হৃদয় হোসেন (২৮), চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের মারুফ হোসেন (৪০), বাধেরহাট এলাকার বাবু মন্ডল (৪০), লাইব্রেরী বাজার এলাকার বাপ্পি হোসেন (৩২), চরঘোষপুর গ্রামের হযরত আলী (২৯), বাংলাবাজার এলাকার মক্কার প্রামানিক (৬২), রবিউল ইসলাম (৪৩), সাইফুল ইসলাম (৩৫), গাছপাড়া গ্রামের জমির হোসেন (৩৫), চক ছাতিয়ানি এলাকার সাহাবুল ইসলাম (৪২), চাটমোহরের নাহিদ পারভেজ (৩৫), পাবনা শহরের আটুয়া এলাকার সাব্বির হোসেন (২৮) ও কাচারীপাড়া এলাকার পান্না মণ্ডল (৩২)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অঞ্চলে আজ প্রায় ৫ মাস ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু কাটা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ দিলেও কাজ হয় না। মাঝে মধ্যে লোকদেখানো দু`একটি অভিযান চালিয়ে আটকও করে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে জেল থেকে বের হয়ে আবারও তারা মাটি কাটা শুরু করে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ৮টি ট্রাক, ৪টি স্কেভেটর মেশি জব্দ এবং জড়িত ১৪ জনকে আটক করে। পরে তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, এনএসআই সহকারী পরিচালক,পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী চরঘোষপুরে পদ্মা নদী ও তীরবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে মাটি এবং বালু উত্তোলন করে আসছিল। যার ফলে উক্ত এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হওয়া সহ রাস্তাঘাটের এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং আশেপাশের আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে জেল দেওয়া হয়েছে। অবৈধ বালু ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।