
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম কর্তৃক কালের কণ্ঠ পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শহীদুল হক (এমরান হাসান সোহেল)কে জেলে পাঠানোর হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বাউফল গার্লস স্কুলে অনুষ্ঠিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসেই ইউএনও এই হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ সময় ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি কারো ফোন ধরতে বাধ্য নই। আমাকে চিঠি দিতে হবে। আমরা এমন চাকর যে মালিককেও জেলে ভরতে পারি।”
জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী কার্যালয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি যৌথভাবে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানাতে কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার, শনিবার ও রবিবার একাধিকবার তার কার্যালয়ে যাওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এমরান হাসান সোহেল জানান, ইউএনওকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় ফোন করলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।
পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম ব্যক্তিগতভাবে ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানানোর পর তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। উপস্থিত হয়েই তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এবং আমন্ত্রণ না পাওয়ার কারণ জানতে চান। সোহেল বিষয়টি ব্যাখ্যা করার পরই ইউএনও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং হুমকিমূলক বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য পাইনি। বিস্তারিত জানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল উপকূলীয় অঞ্চলে ‘উপকূলবাসীর বন্ধু’ নামে পরিচিত। তিনি চারবার ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মানবাধিকারকর্মী হিসেবেও রয়েছে তার সুপরিচিতি।
ইউএনওর এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহল ও সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।