
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে বাদশা মিয়া (৩৯) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে বোদা থানা পুলিশ। রবিবার (২৫ মে) সকালে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের কাউয়াখাল কাটাবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত বাদশা ইউনিয়নের আরাজী শিকারপুর বামনডুবি এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত সূত্রে জানা গেছে, বাদশা ঢাকায় থাকতেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন পন্য ফেরি করে বিক্রি করতেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন। তাদের ভিতর পারিবারিক কলহ ছিল দীর্ঘদিনের। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতের কোন এক সময় তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বের হন নিহতের মামা লুৎফর রহমান। পরে করতোয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মরদেহের কাছে গিয়ে তারা দেখেন সেখানে বাদশা মিয়ার মরদেহ পড়ে আছে।
পরে থানা পুলিশকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহের সুরতহাল করে।
এদিকে, মরদেহটি থেকে কিছু দূরে একটি ব্যাগ, মিষ্টির কার্টুন, পাউরুটি, এবং ঘাস মারা বিষের বোতল পাওয়া গেছে। তবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের মামা লুৎফর রহমান বলেন, আমি সকালে ঘর থেকে গরু বের করে বাইরে প্রসাব করতে বের হই। পরে একটি মরদেহ দেখতে পাই। গিয়ে দেখি আমার ভাগিনা বাদশা। স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারাও ছুঁটে আসেন। তাকে কেউ মেরে ফেলল নাকি আত্মহত্যা করেছে জানিনা।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনসুর আলী জানান, বাদশা অনেকদিন ধরে ঢাকায় থাকতেন। গতকাল কখন বাসায় ফিরেছেন কেউ জানেনা। সকালে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহের পাশে একটি ব্যাগ, মিষ্টি, পাউরুটি, এবং ঘাস মারা বিষের বোতল পাওয়া গেছে। মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যাই। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।