
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
নড়াইলের নড়াগাতী থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চাপাইল এলাকা থেকে ৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া একব্যক্তি আছেন। শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় চাপাইল গ্রামের ইলিয়াস ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা হলেন- পহরডাঙ্গা গ্রামের সায়েম উদ্দিন শেখের ছেলে হাসিবুর শেখ (৩০) এবং চাপাইল গ্রামের সোহরাব হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইলিয়াস ভূঁইয়া (৫০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, হাসিবুর ও ইলিয়াস দীর্ঘদিন মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে হাসিবুর শেখ ‘চ্যানেল এস’, দৈনিক মানবকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রায় ১০ বছর ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ জানান, সাংবাদিকতার আড়ালে মাদক কারবারে জড়িত রয়েছে হাসিবুর শেখ।
বিষয়টি প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য লজ্জাজনক। সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই এখন মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। সাংবাদিকতা পেশাকে কলঙ্কমুক্ত করতে সঠিক রূপরেখা ও নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সাংবাদিকতার সঠিক রূপরেখা ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবাই।
নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই এফ এম তারেক ও এএসআই মাহমুদ করিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে হাসিবুর ও ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘নড়াইলের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর স্যারের নির্দেশনায় জেলাকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এদিকে, সাংবাদিক পরিচয় দেয়া হাসিবুর রহমানকে মাদকসহ গ্রেফতার করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাসিবুর শেখের ছবি পোস্ট করে আজিজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘কথিত সাংবাদিক জামি সাহেবের সাংবাদিক ইয়াবাসহ পুলিশ ধৃত করেছে। ধান্দাবাজ।’ (জামি নামে আরেক সাংবাদিকের সঙ্গী হাসিবুর)।
‘নড়াইল খবর’ নামে আরেক ফেসবুক আইডিতে মাদকসহ আটক হাসিবুরের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে-‘অনেকেই মাদক ব্যবসা, ভুয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে অর্থ লোপাট, চাটুকারিতা, চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজির জন্য মহান সাংবাদিকতা পেশাকে কলঙ্কিত করে চলেছে।’
এভাবে অনেক ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্য করে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সাংবাদিকতার মানদন্ড ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।