• ঢাকা সোমবার
    ২৩ জুন, ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

পঞ্চগড়ের বোদায় ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

পঞ্চগড়ের বোদায় ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বোদায় ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) বিকালে বোদা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের একপাশে দাড়িয়ে পাথরাজ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপি এই মানবন্ধন কর্মসুচি পালন করে।

এর আগে পাথরাজ সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভটি শহীদ মিনারে এসে মানবন্ধনে অংশ নেয়। মিছিলকারীরা ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মানবন্ধনে এক সংক্ষিপ্ত সভায় ছাত্রীর অভিভাবক মোছা. রোওসানা বেগম, শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার, আবু সাঈদ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। উল্লেখ্য বোদা পাথরাজ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে রেজিস্টারের (কাজী) বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির পাশে রাস্তা থেকে সিএনজিতে উঠিয়ে গত ১১ জুন বিকালে অপহরণ করে, জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া জুরন পাড়া গ্রামের হাসমত আলী ছেলে রাজিব ইসলাম (৩৫), রাসেল ইসলাম (২৫) ও অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি।

পরে অপহরণকারীরা তাকে পানির সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পরে অচেতন করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীরা ওই শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২২ ঘন্টা আটকিয়ে রাখার পর ১২ জুন বিকালে ফুটকীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ে ভর্তি করা হয়। সে ১৫ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গত ১৮ জুন পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রাজিব ইসলাম (৩৫), রাসেল ইসলাম (২৫) ও অজ্ঞাতনামা দুইজন সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, গণধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আবেদন করেন। বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিম উদ্দীন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে দুই সন্তানের জনক রাজিব ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে গেছে এমন খবরের ভিত্তিতে বোদা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। আদালত থেকেও আমরা মামলার কোন কাগজপত্র পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আর্কাইভ