
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
শিশুদের সুরক্ষা, বিকাশ ও তাদের প্রতিভার স্বীকৃতির লক্ষ্যে কাজ করা সমাজ সচেতনতা ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম টুইম্বল’র উদ্যোগে ‘প্রতিভাবান শিশু-কিশোর সম্মাননা’ প্রদান করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগের সেরা দশজন শিশু-কিশোরের একজন হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার শিশু সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মাহমুদ হাচান।
রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে শনিবার (২১শে জুন) বিকাল ৩টায় টুইম্বল ও নরম্যাটিভের আয়োজনে ‘সেইফ ইন্টারনেট এন্ড ফিউচার এআই’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রংপুর বিভাগের সেরা দশজন প্রতিভাবান শিশু-কিশোরের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টেসল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইয়াসির, হ্যাপি ভেঞ্চারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হাসান, আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শাহরিয়ার খান, রংপুর মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ তানভীর রহমান শাহ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক (আইসিটি) একেএম আহসান ফরিদ এবং ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এ এইচ আলী।
টুইম্বল-এর প্রধান নির্বাহী জনাব শামীম আশরাফ বলেন, “আমরা শুধু পুরস্কার দিতে চাই না, আমরা শিশুদের একেকজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চাই। তাদের কাজ, কণ্ঠস্বর, আইডিয়াগুলো সামনে আনতে চাই। এ কারণেই সেমিনারটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়—এটি একটি উৎসাহমূলক যাত্রা। যা কেবল শুরু হলো। আমরা একটি নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যত গড়তে চাই। বর্তমানে যখন দেশের শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য, একাগ্রতা এবং সৃজনশীলতা প্রযুক্তির ভুল ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তখন টুইম্বলের মতো সংগঠনগুলো যেন নতুন আলোর বার্তা। উদ্যোগটি কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক, মানবিক ও সচেতন নাগরিক তৈরির শক্ত ভিত।”
সেমিনারে রংপুর বিভাগের সেরা প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের মধ্যে ‘স্বাস্থ্য’ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত মাহমুদ হাচান নীলফামারীর ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজসচেতনতা সহ শিশু-কিশোরদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন তিনি। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সহ শিশুস্বাস্থ্য ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করায় তার কর্মকান্ড সর্বজন প্রশংসনীয়। তিনি বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের শিশু সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতা করছেন।
সম্মাননা পেয়ে মাহমুদ হাচান বলেন, “শিশু হয়ে শিশুদের কথা তুলে ধরার ইচ্ছা ও আগ্রহ থেকে শিশু সাংবাদিকতায় আসা। শিশু সাংবাদিকতায় এসে শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা, অশিক্ষা, বাল্যবিয়ে, কুসংস্কার সহ বিভিন্ন সমস্যা চোখে পড়ে। এগুলো সমাধান করার জন্য শিশু সংগঠক হওয়ার চেষ্টা করছি। আমার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এই স্বীকৃতির আমাকে সামনে আরও মনোযোগ, নিষ্ঠা ও মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।”