
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
আহত শিক্ষার্থী সোয়াদ।
পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় সোয়াদ হোসেন নামের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (০২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।ঘটনার পর স্কুল থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।
আহত শিশুটি ওই গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। পরে শিশুটিকে আহতাবস্থায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন সময়ে হাফিজুর রহমান নামের ওই শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় শিক্ষার্থী সোয়াদ। আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে ওই শিশুর গালে চড় দেওয়ার সময় নাকে লেগে রক্তাক্ত জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে ওই শিশুকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিশুটির বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, শিক্ষক মারধর করুক। সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারতো তবে আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না। কিন্তু মারারও তো ধরণ আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, আমি ওই সময় অফিসে ছিলাম। ঘটনা শোনার পর ক্লাসে গিয়ে শুনি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। পরে ওই শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ বলেন, ক্লাস চলাকালীন বার বার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। পরে কয়েকবার ডেকেছি। পরে ক্লাসে ঢোকার সময় একটা চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বেড়িয়েছে। এটা একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তবে এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।