 
              প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ১০:০৯ এএম
 
                 
                            
              জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর দ্বিতীয় দিনের মতো কারফিউ চলছে গোপালগঞ্জ জেলা জুড়ে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে জেলায় সড়কে জরুরি প্রয়োজনে কিছু গাড়ি চলতে দেখা গেছে। সঙ্গে ছিল পচনশীল পণ্যের বহনও। ছোট ছোট যানবাহন চলতে দেখা গেলেও খুলেনি কোনো দোকানপাট। গত রাতে জায়গায় জায়গায় পুলিশের তল্লাশি লক্ষ্য করা গেলেও সকালে তেমন কিছু চোখে পড়েনি।
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত ফের কারফিউ জারি করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার জন্য কারফিউ বন্ধ থাকবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটায় গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সি (৩২) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ যায় এনসিপি। তবে এই কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জ সদরে ওইদিন সকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময়ে হামলা করা হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি বহরেও। এ দুই ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে জানায় গোপালগঞ্জ পুলিশ।
দুপুরে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে সরে যান।
আধঘণ্টা পর ওই সমাবেশ স্থলেই পুলিশি নিরপত্তায় সমাবেশ করে এনসিপি। সেখানে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপির নেতাদের গাড়ি বহরে আবারো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বাড়তি জনবল নিয়োজিত করা হয়।
প্রথমে এনসিপির নেতাকর্মীরা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেনাবাহিনীর এপিসিতে করে খুলনায় নেওয়া হয় তাদের।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      