
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
এলাকা জ্বালিয়ে দেয়ার বক্তব্যের জেরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম রসুল রাজাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদকে স্মারকলিপি দেন তারা।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলা শহরের ঈদগাহ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ২৩ জুলাই উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির পথসভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজা তার বক্তব্যে বলেন, “আজ আমি বলতে চাই, এই বেরুবাড়ীর মানুষকে ওই বোয়ালের ডারা দিয়ে কেরামতিয়া হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তায় অসম্মান করা হয়, আর যদি ওই জায়গায় বেরুবাড়ীর লোক অসম্মানিত হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে বলতে চাই, ওই বানিয়াপাড়া-ভুষুটারীকে জ্বালিয়ে দেয়া হবে।” এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বানিয়াপাড়া, ভূষুটারী এলাকার জনগণ ফুঁসে উঠে। পরে তারা বিক্ষোভ করেন। এদিকে শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বক্তব্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজা।
রোববারের সমাবেশে বক্তব্যে ওই এলাকার বাসিন্দা মুকুল বলেন, বানিয়া পাড়া, ভূষুটারী এলাকার মানুষ কর্মে বিশ্বাসী। এখানে চাকুরীজীবি, শ্রমজীবিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বাস করে। এখানকার মুষ্টিমেয় মানুষ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই বিএনপির আহŸায়ক গোলাম রসুল রাজা আমাদের চাঁদাবাজ সাজিয়েছে। গুন্ডাবাহিনী সাজিয়েছে। আমাদের বাড়িঘর প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিচার দাবী করছি। সৈয়দ আলী বলেন, এ উপজেলার মানুষ অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে অপপ্রচার চালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর জন্য নাগেশ্বরী উপজেলায় কিছু ঘটলে তার দায়ভার রাজাকে বহন করতে হবে। তারা অভিযোগ করেন, রাজা আমাদের পুরো এলাকার জনগণকে হুমকি দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ প্রসঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজা জানান, বানিয়া পাড়া ও বেরুবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বেরুবাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দাকে অপদস্ত করে। এর প্রেক্ষাপটে এই বাক্যটি ব্যবহার করি। পরে আমি বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছি।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।