 
              প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
 
                 
                            
              পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)। শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে চার বছর বয়সী সন্তান সারফারাজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাউফল থানায় হাজির হয়ে খুনের দায় স্বীকার করেন।
তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ বাউফলের চন্দ্রপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, চাকরিসূত্রে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান চন্দ্রপাড়ায় মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সরোয়ার হোসেন ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী সালমার ঘাড়ে কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে সরোয়ার শিশুপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিবেকের তাড়নায় শুক্রবার ভোরে তিনি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার জানান, সরোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শিশু সারফারাজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      