
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি বটতলা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হয়ে দাবিপূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনের শেষ হয়।
এসময় `বিচার নিয়ে নয়ছয় আর নয়, আর নয়`, `ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই`, `রশি লাগলে রশি নে, খুনিদের ফাঁসি দে`, `খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই`, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, `সাজিদের রক্ত বৃথা যাবে না`, `খুনিদের ফাঁসি চাই`, `আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে`— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খিলাফত মজলিস, জমিয়তে তলাবায়ে আরাবিয়াসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সাজিদের মতো একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ফরেনসিক রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে, সাজিদকে পানিতে ফেলার আগেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের সামনে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে এই সাজিদ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই। অপরাধী যেই হোক, বিচার হবেই। আজই মামলা করা হবে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তোমাদের নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তোমাদের দাবির ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তামীরুল মিল্লাতের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সাজিদ আব্দুল্লাহ শ্বাসরোধে নিহত হয়েছেন বলে ভিসেরা রিপোর্টে উঠে এসেছে। এ ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে। গত ১৭ জুলাই শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।