
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় বসেও কোনো সমাধান হয়নি। আন্দোলনকারীরা ব্লকেড কর্মসূচি ও গণঅনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আন্দোলনকারীদের আলোচনা টেবিলে বসতে এবং সমস্যা সমাধানে সবাইকে আন্তরিক হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেল তিনটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে যান, তাদের বক্তব্য শোনেন। পরে অনশন ভাঙাবার জন্য পানি ও জুস পান করাবার চেষ্টা করেন।
এ সময় অনশনকারীরা তাকে জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে উপস্থিত না হলে তারা অনশন ভাঙবেন না। একই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে মিলনায়তনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মত বিনিময় করেন স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হন। তবে স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার আন্দোলনের কেউ যোগদান করেননি।
আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো রয়েছে সেই দাবিগুলো পূরণের জন্য এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আন্দোলনের ১৭ দিন পার হলেও সব খবরাখবর নিয়েছি। আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করে বলেন, আন্দোলনে যাতে কারো দুর্ভোগ না হয় সেই বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
মতবিনিময় শেষে মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনশন ভাঙাতে যান। মহাপরিচালকের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এটিএম সাইফুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহিউদ্দিন রনি জানান, দাবি দাওয়া নিয়ে আজকে যে আলোচনা হয়েছে সেখানে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যের ডিজি এসেছেন। আমাদের যে দাবি, এই সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট ক্যাপাসিটি তার নেই। তার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে আসতে হবে।’ তিনি চলমান বরিশাল ব্লকেট কর্মসূচি সঙ্গে নতুন করে গণঅনশনের ঘোষণা করেন।
এদিকে, বরিশাল নগরীর নতুল্লাবাদ এলাকায় বরিশাল ব্লকের কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থী-জনতার সঙ্গে একটি পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আন্দোলনে অংশে নেওয়া ৮ শিক্ষার্থী-জনতা আহত হন। আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।