• ঢাকা সোমবার
    ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

সুন্দরবন সংলগ্ন নদীরচর দখল করে গড়ে তোলা রিসোর্ট ভেঙে দিল প্রশাসন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৯:২০ পিএম

সুন্দরবন সংলগ্ন নদীরচর দখল করে গড়ে তোলা রিসোর্ট ভেঙে দিল প্রশাসন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে মালঞ্চ নদীর চর দখল করে গড়ে তোলা ‘এ অ্যান্ড এন ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস’ নামের রিসোর্টটি উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন মৌখালী এলাকায় সদ্য গড়ে তোলা রিসোর্টটি রবিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানান, গত আট মাসেরও অধিক সময় ধরে নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয় এই স্থাপনা। সংশ্লিষ্টদের নিজ দায়িত্বে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও তারা তা সরিয়ে না নেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সেগুলো উচ্ছেদ করেছে।

অভিযানে এসময় নেতৃত্ব দেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) সঞ্জয় রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (শ্যামনগর পওর শাখা) মোঃ ফরিদুল ইসলাম, বন বিভাগের মুন্সিগঞ্জ টহল ফাঁড়ির ফরেস্টার ফাইয়াজুর রহমান ও নীলডুমুর টুরিস্ট পুলিশের এসআই সুজিত সরকার।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) সঞ্জয় রায় জানান, স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি মানেননি। ফলে অভিযান চালিয়ে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নদীর জায়গায় এভাবে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য সাতদিন সময় নিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করার কারনে শ্রমিকদের নিয়ে রবিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত ট্রেইল, পন্টুন, জেটিসহ কিছু স্থাপনা ছাড়াও বাঁধের উপর নির্মিত অবৈধ কয়েকটি কক্ষ অপসারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনার জনৈক মাহাবুব আলম প্রায় আট মাস ধরে মালঞ্চ নদীর তীরে এএন্ডএন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস নামীয় রিসোর্ট সেন্টার ও ট্যুরিস্ট পয়েন্টটি নির্মাণ করেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে নদ-নদীর চর জবরদখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এতে উদ্বিগ্ন নদী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ