
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল। উপজেলা সহ আশেপাশের প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এই ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। ফরিদপুর শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায়, শুধু আলফাডাঙ্গা নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার রোগীরাও এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন রোগী।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রোগীর চাপ বাড়লেও, হাসপাতালটি চলছে চরম জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে। এখানে ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ৯ জন। শুধু তাই নয়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, যেমন সুইপার, নৈশ প্রহরী এবং ঝাড়ুদারেরও তীব্র সংকট রয়েছে। এতে অনেক সময় ইচ্ছা থাকলে ও কাঙ্ক্ষিত সেবা কম পাওয়া যাচ্ছে ।
তবে এলাকাবাসী ও একাধিক রোগীদের সাথে কথা বললে তারা হাসপাতালের সেবার প্রশংসা করছেন, বলছেন যে তারা নিয়মিত ওষুধ, খাবার পাচ্ছেন এবং হাসপাতালের পরিবেশ যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন । তারা আরো জানান, হাসপাতালের প্রধান সহকারী সহ কর্তৃপক্ষদের আন্তরিক চেষ্টায় সেবার মান অনেক ভাল এখানে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালের নার্সিং ইনচার্জ বিরতি বিশ্বাস বলেন ,রোগী আসলে চেষ্টা করি যেন সে ভাল সেবাটা পায় ।
আলডাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালের প্রধান সহকারী হাবিবুর রহমান জানান, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা মাহমুদ হাসান প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নেওয়াজ মোস্তাফিজ চৌধুরী জানান ,“জনবল সংকট কেটে গেলে আমরা জনগণকে আরও উন্নত মানের সেবা দিতে পারব। সেবা দিতে আমরা সব সময় আন্তরিক।
প্রসঙ্গত,আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মানুষের জন্য এই ৫০ শয্যার হাসপাতালটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জনবল সংকট দূর হলে এবং সঠিক সহায়তা পেলে, এখানকার সেবার মান আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, যা স্থানীয় মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি।