
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
নীলফামারী-৩ আসনের (জলঢাকা) সাবেক সংসদ সদস্য ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগে জলঢাকা থানাসহ ঢাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পাভেল গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জলঢাকা থানায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর বাদী ইয়াছিন আলী নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করলে বিচারক এটি আমলে নিয়ে জলঢাকা থানার ওসিকে এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও এক থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট দুপুরে জলঢাকা বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করছিল। মিছিলটি জলঢাকা পেট্রলপাম্প এলাকায় পৌঁছামাত্র সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল ও অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা চেয়ারম্যান আনছার আলী মিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর, আওয়ামী লীগ নেতা নাসিব সাদিক নোভা ও এনামুল হকের নেতৃত্বে লাঠি, ছোরা, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এতে মামলার বাদী ইয়াসিন আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় জনগণ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।