• ঢাকা বুধবার
    ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

ভাঙা থানায় ভাঙচুর: নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

ভাঙা থানায় ভাঙচুর: নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। ভাঙা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।

মামলায় মোট ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। মামলার ২ নম্বর আসামি হলেন হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মিয়া। বুধবার  ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এই হামলা ও ভাঙচুরের কারণে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার নেপথ্যে :

গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙা উপজেলা থেকে দুটি ইউনিয়ন (আলগী ও হামিরদী) বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এক পর্যায়ে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে এবং রেললাইনও অবরোধ করা হয়, যার ফলে একাধিক ট্রেন আটকা পড়ে।

গত রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্দোলন দমনের ঘোষণা দেন। একই দিনে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়, এবং সেই মামলায় আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর প্রতিবাদে গত সোমবার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ভাঙা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্স, ভাঙা হাইওয়ে থানা এবং বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা জানিয়েছেন, ভাঙা উপজেলা কমপ্লেক্সে সহিংসতার ঘটনায়ও আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ