• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শনা রেলবন্দর ব্যবসায়ীদের জন্য আশির্বাদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ০১:৩৮ এএম

দর্শনা রেলবন্দর ব্যবসায়ীদের জন্য আশির্বাদ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানী করা হয় ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, খৈল, পাথরসহ নানা ধরণের পণ্য। আমদানীকৃত এসব পণ্যের একটা বড় অংশ আসে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে। ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঢাকার সঙ্গে অল্প দূরত্ব ও স্বল্প ব্যয়ে আমদানি-রপ্তানির জন্য চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেলবন্দর ব্যবসায়ীদের পছন্দের শীর্ষে থাকায় প্রতি বছরই বাড়ছে পণ্য আমদানীর পরিমান। চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেলবন্দর হয়ে উঠছে ব্যবসায়ী এবং দেশের জন্য আশির্বাদ। এ বন্দরকে ঘিরে সমৃদ্ধ হচ্ছে এলাকার অর্থনীতিও।

দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে হাজার হাজার টন পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে নিয়মিত। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্য রেলপথের মাধ্যমে দেশে ঢুকছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাগছে আশার আলো। রেলপথের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে একদিকে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়েরও বিশাল খাত এখন দর্শনা রেলবন্দর। আমদানী রপ্তানিতে এ বন্দর ব্যবহার করায় প্রতি বছর প্রায় শত কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

দর্শনা রেলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ভারত থেকে পণ্য এসেছে ২২ লাখ টনেরও বেশি। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৬ হাজার টন গম, ২ লাখ ৫৪ হাজার টন ভুট্টা , ১ লাখ ৫১ হাজার টন চাল, ৬৯ হাজার টন পেঁয়াজ, ৮৮ হাজার টন খৈল, ফ্ল্যাই অ্যাশ এসেছে ২ লাখ ১১ হাজার টন এবং পাথর এসেছে ১১ লাখ ১৬ হাজার টন। এতে বাংলাদেশ রেলের মোট আয় ৯৮ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।

আমদানীকারকরা জানান, সড়ক পথের চেয়ে রেলপথে পণ্য আমদানি অধিক সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি লাভজনক এবং নিরাপদ। দর্শনা রেলবন্দর থেকে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার কারণে খুব কম সময়ে ট্রাকযোগে সারা দেশেই পণ্য পরিবহন করা সহজ হয়।

চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক বলেন, ‘খুব অল্প খরচে আমরা দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে পারি। তাতে আমরা ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারছি। এছাড়া যারা পরিবহন ব্যবসায়ী আছেন তাদের জন্যেও আশির্বাদ এই দর্শনা রেলবন্দর’।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের তত্ত্ববধায়ক মীর লিয়াকত আলী বলেন,  ‘রেলের মাধ্যমে আমদানিতে খরচ কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন রেলের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে বেশ উৎসাহী হচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেলের প্রতিটি র‌্যাকে প্রায় ১০০ টি ট্রাকের সমান পণ্য খুব সহজে এবং কম খরচে দেশের ভিতরে প্রবেশ করে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে সক্ষমতা প্রয়োজন তা দর্শনা রেলবন্দরটির আছে। ভবিষ্যতে যদি রেলের মাধ্যমে পণ্য আমদানি বেড়ে যায় তাহলে যে লোকবল প্রয়োজন হবে তা মেটাতে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এআরআই

আর্কাইভ