 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০৯:১৪ পিএম
-20230413091414.jpg) 
                 
                            
              আজ চৈত্রসংক্রান্তি। বাংলা বছরের শেষ দিন। এই দিনকে ঘিরে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নানা ধরনের আচার-অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এখনো গ্রামে গেলে দেখা যাবে অহর কালাই ডাল, চাল ভাজা ও শঙ্খের পানি চোখে দেয়া চলছে। দাদা-দাদিদের বলতে শুনেছি, ডাল-চাল ভাজা খেলে দাঁত শক্ত থাকে। আর শঙ্খের পানিতে চোখ ঠান্ডা থাকে।
‘বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন,/ চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের’– কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঙ্ক্তির মতোই চারদিকে বিদায়ের সুর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি আজ বৃহস্পতিবার। কাল শুক্রবার বাঙালি সাড়ম্বরে বরণ করে নেবে নতুন বাংলাবর্ষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে। একই সঙ্গে বসন্তকে বিদায় দিয়ে প্রকৃতি স্বাগত জানাবে নতুন ঋতু গ্রীষ্মকে।
বাঙালির সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব উদযাপিত হয় চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখের দিনে। বাংলা বর্ষের সর্বাধিক উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চৈত্রসংক্রান্তির দিনটি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি কিংবা বাংলার মানুষ এই দিনকে কেন্দ্র করে উৎসব করেন। কখনও ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনও আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোক লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় এই একটি দিনকে ঘিরে।
প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। এবারও আজ সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এতে থাকবে নৃত্য, যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা, অর্কেস্ট্রা বাদনসহ বর্ষবিদায়ের আয়োজন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      