প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
জাতীয় সংগীত বিতর্কে আপাতত স্বস্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুম্বাইয়ে এই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীদ অবমাননার মামলায় যে সমন পাঠানো হয়েছিল, তা বৈধ নয় বলে উল্লেখ করেছেন আদালত। আগেই এই মামলায় মমতাকে সমন পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সেই সমন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বিশেষ বিচারক আরকে রোকড়ে জানিয়েছেন, এই মামলায় ত্রুটি রয়েছে। আইন না মেনে সমন পাঠানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। নিয়ম মেনে ফের সমন পাঠাতে হবে।
ওই মামলায় সমন পাঠিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের নগর দায়রা আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত। সেই মামলার ভিত্তিতেই সমন পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। এদিন মুম্বাইয়ের নগর দায়রা আদালতের তরফে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম মেনে সমন পাঠানো হয়নি।
২০২১ সালের ঘটনার জেরে এই মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের ক্যাফে প্যারেডে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জাতীয় সঙ্গে গলা মেলানোর সময় চেয়ারে বসেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে মমতার বিরুদ্ধে। এরপরই মামলা দায়ের হয়। প্রথমে কাফে প্যারেড থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের তরফ তেকে কোনো পদক্ষেপ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বিজেপি নেতা। এরপর ২০২২ সালে মমতাকে সমন পাঠানো হয়।
বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আখতারের আয়োজন করা একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মমতা। সেখানে মেধা পাটকর ও মহেশ ভাটসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজকে একত্রিত করার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অভিযোগ, পরে উঠে দাঁড়ালেও প্রথমে বসেই গান গাইছিলেন মমতা। জাতীয় সংগীত শেষ হওয়ার আগে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে মমতার বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সেই ভিডিও। সেই ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের হয়।