• ঢাকা বুধবার
    ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাবার বিপুল সম্পদ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হলো ৮ বছরের শিশু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৩:৩৮ এএম

বাবার বিপুল সম্পদ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হলো ৮ বছরের শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাবার রয়েছে হীরার ব্যবসা। বড় হয়ে সেই ব্যবসার হাল ধরতে পারত সে। কিন্তু সবকিছু ছেড়ে গ্রহণ করেছে সন্ন্যাস। মাত্র ৮ বছর বয়সেই জাগতিক সম্পদের মোহ ত্যাগ করে হয়েছে সন্ন্যাসী। খবর সৌদি গেজেট’র।

ধনী ব্যবসায়ী বাবার মেয়ে দেবাংশি সাংভি। কিন্তু সব ছেড়ে এখন সন্ন্যাসীর জীবন গ্রহণ করেছে। বাকিটা জীবন তাকে সাদা শাড়ি পরে, খালি পায়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে হবে। গত সপ্তাহে জাগতিক সম্পদের মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করে দেবাংশি। সে তার বাবা ধানেশ ও আমি সাংভি’র দুই মেয়ের মধ্যে বড়।

৪৫ লাখ জৈন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে সাংভিরা একটি গ্রুপ। তারা জৈন ধর্ম মেনে চলে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই ধর্মটি আড়াই হাজার বছরের বেশি সময় আগে ভারতে উৎপত্তি হয়েছে। ধর্মবেত্তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই জাগতিক মায়া ত্যাগ করার প্রবণতা বাড়ছে জৈনদের মধ্যে। তবে দেবাংশির মতো এত ছোট শিশুর জাগতিক সম্পদের প্রতি মায়া ত্যাগ খুবই বিরল।

গত বুধবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সুরাট শহরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘দীক্ষা’ গ্রহণ করে দেবাংশি। জ্যেষ্ঠ জৈন সন্ন্যাসীদের সামনে জাগতিক সম্পদের মোহ ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করে সে। এসময় শত শত মানুষ উপস্থিত ছিল।

বাবা-মায়ের সঙ্গে শহরের ভেসু এলাকায় পৌঁছায় দেবাংশি। এসময় তার গায়ে গহনা ও সিল্কের জামা পরা ছিল। আর মাথায় ছিল হীরাখচিত মুকুট। এরপর অনুষ্ঠানে অন্য সন্ন্যাসীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দেবাংশিকে। এসময় সে সাদা শাড়ি পরেছিল। আর তার মাথা ন্যাড়া ছিল।

একটি ছবিতে দেখা যায়, দেবাংশি হাতে ঝাড়ু ধরে রেখেছে। রাস্তায় নিজের অজান্তে যেন কোনো পোকামাকড়কে পিষে না ফেলে সে জন্যই হাতে ঝাড়ু। সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর থেকেই উপাশ্রয়ে রয়েছে দেবাংশি। সন্ন্যাসী হওয়ার পর জৈন সন্ন্যাসী ও নানরা এখানে থাকেন।

ধানেশের পারিবারিক বন্ধু ও সুরাট ভিত্তিক হীরা ব্যবসায়ী এবং বিজেপির একজন নেতা কীর্তি শাহ বলেন, এখন থেকে আর বাড়িতে থাকতে পারবে না দেবাংশি। তার বাবা-মাও এখন থেকে আর দেবাংশির বাবা-মা নয়। সে এখন একজন সন্ন্যাসী।

তিনি বলেন, একজন জৈন সন্ন্যাসীর জীবন সত্যিই কঠোর। এখন থেকে সে আর কখনো কোনো পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে না। তাকে এখন সবসময় হেঁটে বেড়াতে হবে। তাকে মাটিতে শুতে হবে। আর সূর্য ডুবে যাওয়ার পর খেতে পারবে না সে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ