 
              প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম
-20230330052934.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এবার পারমাণবিক ও রাসায়নিক হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। এমন হামলা হলে, কী করতে হবে, সে বিষয়ে সাধারণ জনগণকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নির্দেশনা। সম্প্রতি সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে সড়কের পাশের ডিজিটাল বিলবোর্ডে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে ব্রিফকেস কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়, তার বিস্তারিত দেখানো হচ্ছে এসব ভিডিওতে। এ ছাড়া সংকটময় পরিস্থিতিতে খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় কী কী সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতে হবে— দেওয়া হচ্ছে সেই ধারণাও। যুদ্ধে রাশিয়া যখন সুবিধাজনক অবস্থায়, তখন হঠাৎ এমন প্রস্তুতির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাসিন্দারা বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের মন্ত্রণালয় সেটিই করছে। এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। মানুষ ট্রাফিক জ্যামে বসে এগুলো দেখছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর কয়েকবারই পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে পরমাণু হামলা সংক্রান্ত এসব বিলবোর্ড ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। তা হলে কি সত্যি পরমাণু হামলা চালাতে পারে রাশিয়া? যদিও এসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মস্কো বলছে, ইউক্রেন অভিযানের শুরুতেই স্থাপন করা হয়েছে এসব ডিজিটাল বিলবোর্ড, যা মানুষের নজরে এসেছে সম্প্রতি।

এক রুশ নাগরিক বলেন, আমার বিশ্বাস পারমাণবিক হামলার কোনো হুমকি আমাদের দেশে নেই। এমন কোনো ঘটনাই ঘটবে না। মানুষকে সতর্ক রাখতেই সরকার ভিডিওগুলো প্রচার করছে।
কয়েক দিন আগে, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা চরম উত্তেজনা ছড়ায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এ ছাড়া ইউক্রেনে পশ্চিমা ভারি অস্ত্র সরবরাহ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। যুদ্ধ ইউক্রেনের গণ্ডি পেরিয়ে আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। রাশিয়ার সাধারণ মানুষ অবশ্য এসব শঙ্কা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
রাশিয়ান এক নারী বলেন, এসব সতর্কবার্তা আমাকে মোটেও আতঙ্কিত করছে না। আমি যেমন আছি তেমনই থাকব, কোনো কিছুই পাল্টাব না। আমার ধারণা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশে বাস করছি আমি। আমাদের সেনাবাহিনীর সক্ষমতার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাদের মতো উন্নতমানের অস্ত্র পৃথিবীর আর কোনো দেশেই নেই।
এ ছাড়া সম্প্রতি রাশিয়াজুড়ে বোম্ব শেল্টার ও বাংকার সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমকে আরও উন্নত করার ঘোষণাও দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      