• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিজয় দিবস উদযাপনের আগের দিন ইউক্রেনজুড়ে বৃষ্টির মতো মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০১:৩৬ এএম

বিজয় দিবস উদযাপনের আগের দিন ইউক্রেনজুড়ে বৃষ্টির মতো মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় হয় ৯ মে। এদিন রাশিয়ায় ছুটির দিন। বিজয় দিবস উদযাপনের আগের দিন সোমবার ইউক্রেনজুড়ে বৃষ্টির মতো মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া। এদিন অর্ধশতাধিক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। চলতি মাসে এটিই ইউক্রেনীয়দের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন হামলা। জার্মানির বিপক্ষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনের আগে ইউক্রেনজুড়ে এমন তীব্র হামলা চালাল রুশ বাহিনী।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, দখলদার বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে কমপক্ষে ৬০টি কামিকাজে ড্রোন পাঠিয়েছিল। তবে এর মধ্যে কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টাকালে ৩৬টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। কিন্তু ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন ভবনে আঘাত করায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাদ্যগুদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানে তিনজন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সাধারণত বিজয় দিবসে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে রাশিয়া। তবে এ বছর সেই আয়োজন ততটা জাঁকজমক হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমারা দাবি করেছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল সমরাস্ত্র হারিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া বর্তমানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগে রয়েছে মস্কো। সে কারণেই এ বছর বিজয় দিবসে বড় আয়োজন করছে না পুতিন প্রশাসন।

খোদ ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিজয় দিবসে উপহার দেওয়ার জন্য রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহরের দখল নেওয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

অপরদিকে ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল আলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, এখনো ৯ মের মধ্যে বাখমুত শহর দখলের আশা করছে রুশ বাহিনী। তবে তাদের এই অভিপ্রায় যাতে পূরণ না হয়, সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

 

জেকেএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ