 
              প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
 
                 
                            
              গাজা উপত্যকায় হামাসের শক্ত ঘাঁটি ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে তারা।
এ সময় ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ থেকে ‘হিট-অ্যান্ড-রান’ যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গাজায় আক্রমণের অগ্রগতির বিস্তারিত না জানিয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা যুদ্ধে ভালো অবস্থানে রয়েছি। আকর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছি এবং গাজা শহরের উপকণ্ঠ অতিক্রম করেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
ইসরাইলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরাইলি সেনারা গাজা শহর ঘেরাও সম্পন্ন করেছে। গাজা শহরে হামাসের প্রধান ঘাঁটি রয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক প্রকৌশলীদের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইদ্দো মিজরাহি বলেছেন, সেনারা মাইন এবং ফাঁদের মুখোমুখি হচ্ছে। হামাস দ্রুত শিখছে ও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের নিহত সেনাদের সংখ্যা সরকারের ঘোষণার চেয়ে অনেক বেশি।
গাজায় স্থল অভিযান সম্প্রসারণের পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৮ জন সেনা নিহত ও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল।
কয়েকজন বাসিন্দা ও সংঘাতে লিপ্ত দুই পক্ষের ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে ইসরাইলি ট্যাংকে হামলার বের হয়ে আসে এবং পরে আবার সুড়ঙ্গে লুকিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি-ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা তাদের চারটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে পানির সংকট।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই সময় বিচ শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলে নিহত হয় আরও এক শিশু।
স্কুলগুলোর দুটি ভিডিও সামনে এসেছে। একটি ভিডিওতে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নারী-পুরুষ ও শিশুর লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দ্বিতীয় ভিডিওতে, বিচ শরণার্থী শিবিরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ছবি ধারণ করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের পেছন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। এ সময় ভয় ও আতঙ্কে শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
ভিডিও দুটির সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি।
এ ঘটনায় ইসরাইলি বিমান হামলাকে দায়ী করেছে গাজার হামাস কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি আইডিএফ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      