 
              প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
 
                 
                            
              গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের আত্মরক্ষার ‘অজুহাতে’ তারা শুরু থেকেই গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইলকে সবরকম সহায়তা দিয়ে এসেছে। তবে হঠাৎ গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভোল পাল্টানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম হুরিয়েত ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ত বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসরাইলকে গাজায় তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, যেসব দেশকে তারা সামরিক সহায়তা প্রদান করে, তারা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক কার্যক্রমে বাধা দিতে পারবে না। তবে ইসরাইল গাজায় অভিযানের শুরু থেকেই জরুরী ত্রাণ সরবরাহকারী ট্রাকগুলোকে বাধা দিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে বার বার তাদের অনুরোধ করলেও মানবিক সহায়তা গাজা পর্যন্ত পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইসরাইল।
চিঠিতে বলা হয়, ৩০ দিনের মধ্যে ইসরাইল তাদের এই নীতি পরিবর্তন না করলে সামরিক সহায়তা আটকে দিতে পারে ওয়াশিংটন।
গালান্ত বরাবর পাঠানো ব্লিংকেন-অস্টিনের চিঠি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে গেছে। এই চিঠিটি গোপন রাখার পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের।
১৫ অক্টোবর এই চিঠির প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইসরাইল তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে এবং এরপর গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
প্রসঙ্গত, গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      