
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান। বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে অনেক জায়গায়। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে ব্যাপক মাত্রায়। মাত্র দুইদিনেই অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে বহু মানুষ ভূমিধসে চাপা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবারের মধ্যে কেবল বুনেরেই ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় একটি ভবন চাপা পড়ে একই পরিবারের ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হন। অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধসে আটজন নিহত হয়েছেন। নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০০ পর্যটক।
দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে।
খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে, শুধু এ প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২ শিশু। হিগুকান্দ ও পীর বাবা এলাকায় বহু নারী-শিশু এখনো আটকা পড়ে আছেন। বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ভেসে গেছে আল মদিনা নামের একটি হোটেল।
জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।