
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে নাইজেরিয়ার বর্নো প্রদেশের কুমশে এলাকায় চারটি আলাদা লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সশস্ত্র জঙ্গি বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।
রোববার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নাইজেরিয়ান বিমান বাহিনী (এনএএফ) জানিয়েছে, ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন সশস্ত্র জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেনাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি চলছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়। মূলত, জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ায় সামরিক বাহিনীর চলমান অভিযানের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়।
এনএএফ মুখপাত্র এহিমেন এজোদামে বলেন, অভিযানের পর স্থল সেনাদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের অবস্থান ঘিরে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
নাইজেরিয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে বোকো হারাম এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বী দল আইএসআইএল (আইসিসি) ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি)-এর হামলার মাত্রা সম্প্রতি বেড়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী একের পর এক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেনা হত্যা করছে এবং অস্ত্রশস্ত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে।
নাইজেরিয়ার পাশাপাশি এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ক্যামেরুন, চাদ ও নাইজার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও।
প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা এই সশস্ত্র সংঘর্ষ ২০১৫ সালের পর কিছুটা কমে এলেও, চলতি বছরের শুরু থেকে হামলার সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর নাইজেরিয়াকে ৩৪৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যা এখন কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বোমা, রকেট ও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে নাইজেরিয়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে এবং ভবিষ্যতের হুমকির মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।