 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
 
                 
                            
              নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুশীলা কার্কি। দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন তিনি। আগামী বছরের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সুশীলা কার্কি বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নিয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জেন জি বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের কারণেই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
তার মন্ত্রিসভাকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, সংসদ এবং আক্রমণের শিকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুনর্নির্মাণ, সেইসঙ্গে পরিবর্তন চাওয়া জেন জি বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করা এবং নেপালের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মতো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে তাদের।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ নেন তিনি। দেশটিতে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে জেন-জি আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল।
শপথ গ্রহণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাম সহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে নেপালে তিন দিনের টানা বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সরকারের পতন হয়। এরপর বুধবার আন্দোলনকারীরা কার্কিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে মনে হলেও অনেকের মধ্যেই মতপার্থক্য দেখা দেয়। তবে সব মতপার্থক্য ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কার্কি।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      