
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ১১:১৩ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা। মাত্র একদিনে দখলদার বহিনীর হামলায় আরও ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. আবু সালমিয়ার পরিবারের ৫ সদস্যও রয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেস্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার একদিনেই ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটি দখল করতে এবং সেখানকার মানুষদের দক্ষিণের তথাকথিত ‘কনসেন্ট্রেশন জোনে’ ঠেলে দিতে আকাশ ও স্থল হামলা চালাচ্ছে। শনিবারের হামলায় বসতবাড়ি, স্কুলে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্র, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু এবং পালিয়ে আসা লোকজন বহনকারী ট্রাককে নিশানা করা হয়। শুধু এসব হামলাতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ জন।
এদিনই গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার পারিবারিক বাড়ি বোমায় ধ্বংস হয়েছে। এতে তার ভাই, ভাবি ও তাদের সন্তানসহ অন্তত পাঁচজন মারা যান।
আবু সালমিয়া বলেন, ‘আমি জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ আমার ভাই ও তার স্ত্রীর মরদেহ সামনে আসে। এখন আর কিছুই অবিশ্বাস্য নয়— প্রিয়জনেরা হয়তো শহীদ হয়ে যাচ্ছে, নয়তো আহত হয়ে আসছে।’
হামাস এ হামলাকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি চিকিৎসকদের গাজা ছাড়তে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে চালানো এক ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী বার্তা’। তাদের দাবি, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনী ১ হাজার ৭০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছে এবং ৪০০ জনকে আটক করেছে।
এদিকে শহরের নাসর এলাকায় আরেকটি হামলায় একটি ট্রাকের ওপর ইসরাইলি ড্রোন আঘাত হানে, এতে অন্তত চারজন নিহত হন। তাদের রক্তাক্ত মরদেহ রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত আগস্ট থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গাজার প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এর আগে সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করত। ইসরাইলি সেনারা শুধু গত দুই সপ্তাহেই অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে।