
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
ইথিওপিয়ার একটি গির্জায় অস্থায়ীভাবে নির্মিত ‘স্ক্যাফোল্ডিং’ ধসে পড়ে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪০ মাইল) পূর্বে আরের্তি শহরে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন একদল ধর্মপ্রাণ মানুষ বার্ষিক ভার্জিন মেরি উৎসবে অংশ নিচ্ছিলেন।
‘স্ক্যাফোল্ডি’ হলো অস্থায়ী কাঠামো। যা বাড়ি, ভবন অথবা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে বা ভবন রং করার ক্ষেত্রে তৈরি করেন শ্রমিকরা। এ ধরনের কাঠামো সাধারণত মাটি থেকে উচুঁ জায়গায় কাজ করতে কাঠ, বাঁশ বা রড দিয়ে তৈরি করা হয়।
দেশটির জেলা পুলিশ প্রধান আহমেদ গেবেয়েহু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা নিউজকে জানান, ‘মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি, যাদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা আতনাফু আবাতে ‘থিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ইবিসি)’কে জানান, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। তবে উদ্ধার কার্যক্রম বা আটকে পড়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজধানী আদ্দিস আবাবার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইবিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কাঠের খুঁটির জঞ্জালের স্তূপে লোকজন ভিড় করে আছে। অন্য ছবিতে দেখা যায় গির্জার বাইরের অংশ, যেখানে অস্থায়ীভাবে কাঠামোটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ইবিসি প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতিতে ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধির যথাযথ প্রয়োগ নেই বললেই চলে, যার ফলে নির্মাণ দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটি প্রায় ৮০টি জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলোর একটি।