• ঢাকা রবিবার
    ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা চলছে গাজায়, একই পরিবারের ১১ জনসহ নিহত ৩৮

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১০:৩৩ এএম

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা চলছে গাজায়, একই পরিবারের ১১ জনসহ নিহত ৩৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা স্বত্ত্বেও বিক্ষিপ্তভাবে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শনিবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকাটিতে।

এর মধ্যে গত শুক্রবার একটি বাসে গোলাবর্ষণ করে একই পরিবারের অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিন নারী রয়েছেন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। 

হামাস-নিয়ন্ত্রিত জরুরি পরিষেবা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল জানান, শনিবার গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের বহনকারী একটি বাসে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। পরে উদ্ধারকারীরা বাসের ভেতর থেকে মরদেহগুলো বের করে। নিহতরা সবাই স্থানীয় আবু শাবান গোত্রের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় তারা নিজেদের বাড়িঘর দেখার জন্য নিজ এলাকায় ফিরছিলেন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বাসটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় নির্ধারিত ‘হলুদ লাইন’ অতিক্রম করেছিল এবং তাদের সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করেছিল। তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।

উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর উত্তর গাজার বহু বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজেদের ঘরবাড়ির সন্ধানে ফিরছেন। তবে, অব্যাহত যুদ্ধ ও বিমান হামলায় গাজা নগরী প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকেই পরিচিত জায়গা খুঁজে পেতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

এর আগে, গত সপ্তাহে গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংঘটিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস আরও একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার রাতে মরদেহটি ইসরায়েলে পৌঁছায়।

মিসর-সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং এখনও বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। সেইসঙ্গে অন্যান্য প্রধান সীমান্ত পথেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বিশাল বাধা তৈরি হয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত পুরোপুরি না মানা পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলা হবে না।

অন্যদিকে হামাস বলছে, তারা চুক্তির শর্ত মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহ উদ্ধার ও হস্তান্তরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
 

আর্কাইভ