প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তসংক্রান্ত উত্তেজনা ফের বাড়ছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের সী সা কেত প্রদেশে থাই সেনাবাহিনী ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুই থাই সেনা আহত হয়েছেন।
থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রোববার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কম্বোডীয় সেনারা সী সা কেত সীমান্তে গুলি ছোড়ে, যাতে দুই থাই সেনা আহত হন। এক ঘণ্টার মধ্যে থাই সেনা পাল্টা হামলা চালায়। সংঘাতটি শেষ হয় স্থানীয় সময় ২টা ৫০ মিনিটে।
থাই সেনাবাহিনী জানায়, আহত সেনাদের মধ্যে একজনের পায়ে গুলি লেগেছে, অপরজনের বুকে আঘাত রয়েছে। সংঘাতের পর, থাইল্যান্ড সেনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তবর্তী চারটি প্রদেশ- বুরি রাম, সুরিন, সী সা কেত ও উবন রাতচাথানিতে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
একদিন আগে জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাইল্যান্ড। থাই সরকার দাবি করে, কম্বোডিয়া সীমান্তে থাই ভূখণ্ডে গোপনে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ল্যান্ডমাইন পেতে রেখেছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জাতিসংঘকে তদন্তের আহ্বান জানায় থাইল্যান্ড।
এমন পরিস্থিতি, যখন থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে, তা নতুন নয়। গত জুলাই মাসে দীর্ঘ ১৫ বছরের যুদ্ধবিরতি ভেঙে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘাতে ৩২ জনের প্রাণহানি ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হন। ওই সংঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
এই নতুন সংঘাত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সমস্যা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।