সিটি নিউজ ডেস্ক
পরিবার শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনের পীঠস্থান। বলা হয়ে থাকে পরিবার শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র। শিশুর স্বভাব, আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ও একজন ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠার মূল বীজ পরিবার থেকেই বপন হয়ে থাকে। মানুষের আচরণ দিয়েই বোঝা যায় একটি মানুষ কী ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছে বা তার পারিবারিক শিক্ষা কেমন। শিশুরা দারুণ অনুকরণপ্রিয়। সন্তানকে শিষ্টাচারের শিক্ষা দিন শিশুকাল থেকেই। সাধারণ কিছু নৈতিক আচরণ ও ভদ্রতার বিষয়টি চর্চার মধ্য দিয়ে শিশুকে শেখান।
১. অন্যকে আগে দেওয়াঃ কোনো জিনিস শুরুতে নিজে না নিয়ে অন্যকে দেওয়া শিশুকে আদবকেতা শেখানোর প্রথম স্তর। যেমন : দরজা খুলে প্রথমেই নিজে না বের হয়ে পাশে কেউ থাকলে তাকে বের হতে দেওয়া, খাবার টেবিলে বসে শুরুতেই নিজের জন্য খাবার না নিয়ে অন্যকে দেওয়া ইত্যাদি। একজন ভদ্র মানুষ হতে এসব শিক্ষা শিশুর জন্য জরুরি।
২. ফোনে বিনয়ীভাবে কথা বলাঃ সুন্দর করে কথা বলা একটি শিল্প। শিশুকে ফোনে সুন্দর করে ও বিনয়ীভাবে কথা বলতে শেখান। এটি সুন্দর পারিবারিক শিক্ষার লক্ষণ।
৩. ধন্যবাদ দিতে শেখানঃ শিশুকে শেখান ধন্যবাদ দিতে। এটি সহজ, কিন্তু শক্তিশালী। শিশুকে এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করে তুলুন।
৪. বাড়িতে অতিথি আসলে খেতে বলাঃ বাড়িতে অতিথি আসলে খেতে বলতে হয়- এই শিক্ষাটি শিশুকে দিন। এটি একটি প্রাথমিক শিক্ষা। এটি খুব ছোট একটি বিষয়। তবে একে রুটিনে পরিণত করুন। শিশুর বয়স যতই হোক, তাকে বিষয়টি শেখান।
৫. খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়াঃ খাবার পরিবেশনের সময় বিনয়ী হওয়া ভদ্র ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। এটি শিশুকে শেখান। এ ধরনের ছোট ছোট অভ্যাস শিশুকে চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।
৬. ভুল বা অন্যায় স্বীকার করাঃ শিশুরা ভুল করবে, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। শিশুদের ছোট-ছোট ভুল বা অন্যায়গুলো সব সময় ক্ষমাযোগ্য। তবু শিশুদের তা স্বীকার করা মানসিকতা তৈরি করতে শেখাতে শিশু বয়স থেকেই।
৭. ভুল করলে দুঃখ প্রকাশ করাঃ শিশু ভুল করলে অনুতপ্ত হতে শিক্ষা দিন। কারও প্রতি অন্যায় করলে বলতে শেখান সরি বা দুঃখিত। শিশু হয়ে ওঠে সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
আরআই
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন