প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০১:৪৮ পিএম
ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গত রোববার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) এই চিঠি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সোহেল রানার অর্থসম্পদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন সোহেল রানা। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভারতে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম। তবে এখনও কোনো জবাব না পাওয়ায় আবারও চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
মহিউল ইসলাম বলেন, গত রোববার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত এনসিবিকে, সে দেশে গ্রেফতার ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে (সাময়িক বরখাস্ত) ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এ ব্যাপারে তারা ইতিবাচক সাড়া পাবেন।
এদিকে বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হওয়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি চেয়ে গত রোববার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের কাছে আবেদন করেছেন গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান।
গত আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ই-অরেঞ্জ নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আলোচনায় আসেন। ওই মামলায় তার বোন সোনিয়া মেহজাবীন ও ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে। তার চতুর্থ স্ত্রী নাজনীন নাহার (বীথি) পলাতক।
গত বৃহস্পতিবার ই-অরেঞ্জের আরেক গ্রাহক সোহেল রানার বিরুদ্ধে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই সোহেল রানা পালিয়ে যান। গত রোববার সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
টিআর/ডাকুয়া