• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঢাবিতে প্রথম দিনে ২১০ জন করোনা টিকা নিয়েছেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১, ০৩:৪৯ পিএম

ঢাবিতে প্রথম দিনে ২১০ জন করোনা টিকা নিয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে বিশেষ অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম দিনে টিকা নিয়েছেন ২১০ জন।

টিকা প্রদান কার্যক্রমের সমন্বয়ক ড. মো. আব্দুল মুহিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টায় শুরু হয়ে টিকা কার্যক্রম চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। প্রথম দিনে তিনটি বুথে সর্বমোট ২১০ জন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬০ জন, নারী ৫০ জন। প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২০৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬ জন।’

প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী বলেন, ‘প্রথম দিন যেমন প্রত্যাশা ছিল, তেমন ভিড় দেখা যায়নি। অনেকেই হয়তো এর আগেই টিকা নিয়েছেন। তবে সবাই খুবই শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকা গ্রহণ করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম এই কার্যক্রম আরও আগে শুরু করতে, কিন্তু সম্ভব হয়নি। আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করা যাবে। আশা করছি, এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই টিকার আওতায় চলে আসবেন।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে এই অস্থায়ী ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় এনে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ