• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গুলশানের ‘র ক্যানভাস বারে’ ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০২:০০ এএম

গুলশানের ‘র ক্যানভাস বারে’ ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশানের ‘র ক্যানভাস রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার’-এ অভিযান চালিয়ে ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটি মদ ও মদ জাতীয় অন্যান্য পানীয় এবং খাবার বিক্রি থেকে দেড় কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ জন্য মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

'র ক্যানভাস রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার' গুলশানের আরএম সেন্টারের চতুর্থতলায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে লাইসেন্স নিয়ে বারে মদ ও মদ জাতীয় দ্রব্য এবং রেস্টুরেন্টে খাবার বিক্রি করে থাকে। এই বারের নিবন্ধন নং- ০০২৮৪৭০০৯-০১০১।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত সেবা বিক্রি গোপন করে চালান ব্যতীত সেবা সরবরাহ করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে গত ১৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।


সোমবারের এই অভিযানে প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংক্রান্ত ও বাণিজ্যিক দলিলাদি কর্মকর্তাদের দেখানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূসক সংক্রান্ত দলিলাদি এবং মাদক সংক্রান্ত রেজিস্টার হতে মাদকদ্রব্যের মজুদের পরিমাণ নির্ণয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

এ ছাড়া মাদক সংক্রান্ত রেজিস্টারে উল্লেখিত মজুদের পরিমাণের সঙ্গে ওয়্যারহাউজ এবং দুটি কাউন্টারে রাখা দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্যের তথ্য যাচাই করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে ধারণ করা তথ্যাদি যাচাই করে সেবা বিক্রি সংক্রান্ত বাণিজ্যিক দলিলাদি লুকানো অবস্থায় জব্দ করা হয়। এসব তথ্য ভ্যাট দলিলাদির সঙ্গে ব্যাপক অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিলক্ষিত হয়।

এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের মার্চ থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। এতে ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ভ্যাট প্রযোজ্য। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট পরিশোধ করেছে মাত্র ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে বিক্রিমূল্যের ওপর ৮৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। এ ছাড়া আরও কিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। অপরিশোধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক এবং এর ওপর জরিমানা সুদসহ মোট ১ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা সরকারি রাজস্ব পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়।

এএমকে/ডা

আর্কাইভ